ইন্তেকালের পরেও রাহমাতুল্লিল আলামীন (সা.)-এর মেহমানদারী

 

—আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী

আল্লামা সামহুদী ‘ওফাউল ওফা’ গ্রন্থে লিখেছেন, আমার বন্ধু আলী ইবনু ইবরাহীম বুসিরী বর্ণনা করেন, আমি আব্দুস সালাম ইবনু আব্দুল কাছিম আস সাকলীর নিকট থেকে শুনেছি, তিনি বলেন আমার নিকট একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র শহর মদীনা শরীফে অবস্থান করছিলাম। আমার নিকট কোন সম্পদ না থাকায় দুর্বল হয়ে পড়লাম। অবশেষে হুজরা শরীফের নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া সায়্যিদাল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, আমি মিশরবাসী। পাঁচ মাস থেকে আপনার খিদমতে উপস্থিত আছি, এখন অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছি। আল্লাহর নিকট দুআ করছি এবং আপনার নিকট নিবেদন করছি আমার জন্য এমন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট করে দিন যিনি আমার খাদ্যের ব্যবস্থা করবেন অথবা আমাকে বের করে দিন। অতপর আরো কতক্ষণ দুআ করে মিম্বর শরীফের নিকট বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখলাম এক ব্যক্তি হুজরা শরীফের নিকট উপস্থিত হয়ে কি যেন বলছেন। শুনলাম তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলছেন, ‘হে আমার নানা! হে আমার নানা। অতপর ঐ ব্যক্তি আমার নিকট এসে আমার হাত ধরে বললেন, চলো আমার সাথে। আমি চললাম। আমাকে নিয়ে তিনি বাবে জিবরীল দিয়ে বের হয়ে জান্নাতুল বাকী অতিক্রম করে একটি তাবুর সম্মুখে উপস্থিত হলেন। দেখলাম তাবুতে একজন বাদী ও একজন খাদিম রয়েছে। তিনি তাদের বললেন, মেহমানের জন্য খানা প্রস্তুত করো। খাদিম কাঠ সংগ্রহ করে নিয়ে আসলেন এবং বাদী আটা দিয়ে মালাহ নামক উত্তম রুটি প্রস্তুত করলেন। মেজবান আমাকে কতক্ষণ কথাবার্তায় মশগুল রাখলেন। ইতোমধ্যে বাদী রুটিকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দু’জায়গায় রাখল এবং ঘি’র একটি পাত্র নিয়ে এসে রুটির উপর ঘি ঢেলে দিল। মালাহ নামক উত্তম রুটি ও ছায়হানি নামক উত্তম শ্রেণির খেজুর রাখল। অতপর মেজবান আমাকে বললেন খাও। খাওয়ার পর তিনি বললেন আরো খাও, আবার বললেন আরো খাও। আমি বললাম, হে আমার সর্দার। আমি কয়েক মাস থেকে রুটি খাইনি; এর চেয়ে অধিক এখন ভক্ষণ করা আমার পক্ষে মুশকিল।
তারপর তিনি রুটির অপর অর্ধাংশসহ খাবারের অবশিষ্টাংশ একটি ছালায় ভরে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি? আমি নাম বললাম। আমাকে বললেন, আল্লাহ তাআলার নামের শপথ করে বলছি, তুমি পুনরায় আমার নানার নিকট অভিযোগ করবে না, কেননা তিনি অভিযোগ শুনে ব্যতিব্যস্ত ও দুঃখিত হয়ে যান। এখন থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তোমাকে মদীনা শরীফ থেকে চলে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা করে না দেন ততদিন পর্যন্ত যখনই প্রয়োজন হবে তখনই তোমার খাদ্য প্রেরণ করা হবে।
এরপর খাদিমকে নির্দেশ দিলেন, ছালাটি বহন করে নিয়ে এই ব্যক্তির সাথে যাও এবং হুজরা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়ে আসো। আমি জান্নাতুল বাকী পর্যন্ত পৌঁছে খাদিমকে বললাম, আর প্রয়োজন নেই, আমি পৌঁছতে পারব, তুমি চলে যাও। খাদিম বলল, আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আমি কখনও এভাবে ফিরে যেতে পারি না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার মুনীবকে এ সংবাদ দিয়ে দিতে পারেন। (অর্থাৎ আমি যে মেহমানকে হুজরা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়ে আসিনি সেটা হয়তো রাসূল (সা.) আমার মুনীবকে জানিয়ে দিবেন)। খাদিম আমাকে হুজরা মুবারক পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। চারদিন পর্যন্ত সে খাদ্য ভক্ষণ করলাম। যে দিন খাদ্য শেষ হলো সেদিনই ঐ খাদিম আমার জন্য খাদ্য নিয়ে আসলেন। এমনি করে যখনই আমার খাদ্যের প্রয়োজন হতো তখনই ঐ খাদিম আমার খাদ্য নিয়ে আসতেন। অবশেষে ইয়াম্বো যাত্রী এক কাফেলার সাথে আমি ইয়াম্বোর দিকে যাত্রা করলাম (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮৪ পৃষ্ঠা)।

ইবনু নুমান সনদ মাধ্যমে আবুল আব্বাস বিন নাফিস আল-মুকরী আদ-দারীর থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি মদীনা শরীফে তিন দিন উপবাসে কাটাই। তারপর রওদ্বা মুবারকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি ক্ষুধার্ত। দুর্বলতাবশত পরক্ষণেই আমার ঘুম আসলো। ইতোমধ্যে একটি বালিকা এসে আমাকে স্পর্শ করলে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, আমি জেগে উঠলাম। সে বললো, আমার সাথে চলো। আমি চললাম এবং তার ঘরে পৌঁছলাম। আমার সামনে রুটি, ঘি ও খেজুর রেখে বালিকা বললেন, হে আবুল আব্বাস, তুমি খাও। আমার নানা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তোমার খাদ্য দেয়ার জন্য। যখনই তোমার ক্ষুধা অনুভব হয় এখানে এসে খাবার গ্রহণ করো।

আবূ বকর ইবনুল মুকরী বলেন, ইমাম তাবারানী, আবূ শায়খ ও আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র হারামে উপস্থিত ছিলাম। ক্ষুধায় আমাদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছিল। রোযার পর রোযা রাখলাম। ইশার সময় রওদ্বা মুবারকে হাযির হয়ে আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! ক্ষুধা! (অর্থাৎ আমরা ক্ষুধায় কাতর)। এটুকু বলেই ফিরে আসলাম। আবুল কাসিম তাবারানী আমাকে বললেন, বসে অপেক্ষা করো, হয় খাদ্য আসবে না হয় মৃত্যু আসবে। আমি ও আবূ শায়খ দাঁড়িয়ে রয়েছি এবং তাবারানী বসে বসে কিসের যেন অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় এক উলুভী (হযরত আলী (রা.) এর বংশের লোক) আমাদের দরজায় করাঘাত করলেন। দরজা খুলে দেখলাম ঐ ব্যক্তির সাথে দু’জন খাদিম রয়েছেন এবং তারা দুটি ব্যাগে করে বহু জিনিসপত্র বহন করে নিয়ে এসেছেন। আমরা তিনজন পেট ভরে খাবার ভক্ষণ করলাম। ঐ ব্যক্তি বললেন, আপনারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফরিয়াদ করেছেন। রাত্রে স্বপ্নযোগে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাত হয় । তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন যেন আপনাদের কাছে খাদ্য পৌঁছাই। (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮০ পৃষ্ঠা)

ইবনুল জালা বলেন, আমি মদীনা শরীফে প্রবেশ করলাম। তখন ক্ষুধায় কাতর। রওদ্বা মুবারকে উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি আপনার মেহমান। অতপর আমার তন্দ্রা আসল। তন্দ্রাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার নসীব হলো। তিনি আমাকে রুটি দান করলেন। রুটির অর্ধাংশ ভক্ষণ করলাম। জাগ্রত হয়ে দেখলাম আমার হাতে রুটির অর্ধাংশ রয়েছে। (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮০ পৃষ্ঠা)।

সূফী আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মদ ইবনু আবি যূরআ বলেন, আমি আমার পিতা ও আবূ আব্দিল্লাহ ইবনু খফিক এর সঙ্গে মক্কা শরীফে উপস্থিত হই। আমরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়লাম। ক্ষুধায় কাতর অবস্থায় সফর করে মদীনা শরীফে পৌঁছলাম। মদীনা শরীফ পৌঁছে ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করলাম। আমি তখন নাবালক ছিলাম। বারবার পিতার নিকট গিয়ে ক্ষুধাজনিত কষ্টের কথা বললাম। (আমার অবস্থা দেখে) আমার বাবা রওদ্বা মুবারকে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি আপনার রাত্রের মেহমান। এতটুকু বলে আমার পিতা মুরাকাবাহ বা ধ্যানে বসলেন। কিছুক্ষণ পরে মস্তক উত্তোলন করে কতক্ষণ কাঁদলেন আবার কতক্ষণ হাসলেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি এমন করছেন কেন? তিনি উত্তরে বললেন, আমি হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম তিনি আমাকে ক’টি দিরহাম দান করলেন। অতপর আমার পিতা হাতের মুষ্টি খুলে দেখালেন যে, হাতে এ দিরহামগুলো রয়েছে। আল্লাহ তাআলা এ দিরহামগুলোতে এমন বরকত দান করলেন যে, আমরা সিরাজ নগরে ফিরে আসা পর্যন্ত এ দিরহামগুলো দ্বারা আমাদের ব্যয় সংকুলান হলো। (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮১ পৃষ্ঠা)।

শায়খ আহমদ ইবনু মুহাম্মদ বলেন, আমি দীর্ঘ তের মাস ধরে অনাবাদ ভূমি ও জঙ্গল ভূমি অতিক্রম করতে থাকি। আমার শরীরের চর্ম ঝলসে গিয়েছিল। অবশেষে মদীনায় এসে উপস্থিত হলাম। মদীনা শরীফে উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে সালাম পেশ করলাম। অতপর আবূ বকর সিদ্দীক (রা.) ও হযরত উমর ফারূক (রা.) সমীপে সালাম পেশ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম, তিনি আমাকে সম্বোধন করে বললেন, হে আহমদ তুমি এসেছ? আমি বললাম হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি ক্ষুধার্ত ও আপনার মেহমান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার হাতের মুষ্টি খোল। আমি মুষ্টি খোললাম। তিনি দিরহাম দিয়ে আমার মুষ্টি ভরে দিলেন। জাগ্রত হয়ে দেখলাম আমার দু’টি হাত দিরহামে পরিপূর্ণ। আমি তৎক্ষণাৎ উঠে রুটি, ফালুদা খরিদ করে ভক্ষণ করলাম। অতপর বিজন প্রান্তরের দিকে যাত্রা করলাম। (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮২ পৃষ্ঠা)

হাফিয আবুল কাসিম ইবনু আসাকির তৎপ্রণীত ইতিহাস গ্রন্থে সনদ মাধ্যমে আবুল কাসিম সাবিত ইবনু আহমদ আল বাগদাদী থেকে বর্ণনা করেছেন, আবূল কাসিম বলেন, তিনি মদীনা মুনাওয়ারায় জনৈক ব্যক্তিকে ফজরের আযান রওদ্বা মুবারকের নিকট দিতে দেখলেন। ঐ ব্যক্তি “আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাউম” বলার সাথে সাথে মসজিদ থেকে এক খাদিম এসে তাকে চপেটাঘাত করলেন। মুআযযিন কেঁদে কেঁদে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার সম্মুখে আমার প্রতি এ ব্যবহার। সঙ্গে সঙ্গে খাদিম পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। লোকজন তাকে বহন করে ঘরে নিয়ে গেল। তৃতীয় দিনে এ খাদিম ইন্তিকাল করলেন। (ওফাউল ওফা, ৩য় খন্ড, ১৩৮২ পৃষ্ঠা)

সায়্যিদ আবূ মুহাম্মদ আব্দুস সালাম ইবনু আবদির রহমান আল হুসাইনী আল ফাছিহ বলেন, আমি মদীনা শরীফে তিন দিন অবস্থান করলাম। খাদ্যের কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমি মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে দু’রাকাত নামায আদায় করলাম। অতপর নিবেদন করলাম, ইয়া জাদ্দী (হে আমার নানা)! আমি ক্ষুধায় কাতর, আমার ইচ্ছা যেন ছারীদ ভক্ষণ করি। তারপর আমি শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি এসে আমাকে ঘুম থেকে জাগ্রত করলেন। আমি জাগ্রত হয়ে দেখলাম ঐ ব্যক্তির হাতে একটা কাঠের পাত্র। এর ভিতর রয়েছে ছারীদ। ছারীদের মধ্যে অধিক পরিমাণে ঘি, গোশত ও সুগন্ধি বস্তু। তিনি আমাকে বললেন, খাও। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এগুলো আপনার নিকট কি করে আসলো? তিনি বললেন, আমার সন্তানেরা তিনদিন থেকে ছারীদ ভক্ষণের জন্য আমাকে ফরমায়েশ করছিল। অদ্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আমি কিছু জিনিস লাভ করি এবং সন্তানদের জন্য কিছু ছারীদ প্রস্তুত করি। ছারীদ প্রস্তুত করে নিদ্রা যাই। নিদ্রাবস্থায় দেখলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ করছেন, তোমার এক ভাই এ খাদ্য চায়, তাকে এ খাদ্য দান করে এসো।

মক্কা শরীফে ইবনু সাবিত নামে এক ওলী ছিলেন। ষাট বছর পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওদ্বা শরীফে হাযির হয়ে যিয়ারত করে চলে যেতেন। একবার কোন অসুবিধাবশত উপস্থিত হতে পারেননি। স্বীয় হুজরায় (মক্কা শরীফে) উপবিষ্ট ছিলেন। তন্দ্রাবস্থায় হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার লাভ করলেন। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাবিত! তুমি আমার সাক্ষাতে আসনি, তাই আমি এসেছি।

আবূ সুলাইমান দাঊদ এ ধরনের ঘটনাগুলো বর্ণনা করার পর বলেন যে, এ ধরনের নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় আওলাদগণকেই করে থাকেন। বিশেষ করে যখন কোন ব্যক্তিকে খাদ্য দানের প্রয়োজন হয়। কেননা সম্ভ্রান্ত লোক স্বীয় পরিবার থেকেই মেহমানদারী আরম্ভ করেন। এ নিয়মে খাদ্য দান করার নির্দেশ স্বীয় আওলাদগণকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দিয়েছেন।

[লেখক: হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য বড় ছাহেবজাদা;
মুরশিদে বরহক, প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস ও ইয়াতীম-অনাথের অভিভাবক;
লেখক, গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা]
(লেখাটি সুবহে সাদিক-২০১৬ থেকে সংগৃহীত)

শেয়ার করুন:
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!