পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) এর তাৎপর্য

 

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

আল্লাহ্ জাল্লাহ শানুহুর সর্বোত্তম সৃষ্টি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পৃথিবীতে তাশরীফ আনয়নের দিনটি বিশ্ব মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৃষ্টির মূল। এই নূর মুবারক থেকেই বিশ্ব জগতের সবকিছু বিকশিত হয়েছে। এ নূর মুবারক সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিশ্বজগত সৃষ্টির সূচনা করেন এবং তাঁকে নবুওয়াত ও রিসালাতে অভিসিক্ত করে নবুওয়াত ও রিসালাতেরও সূচনা করেন। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, আমি রাসূলগণের ভূমিকা এবং নবীদের উপসংহার।

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে : স্মরণ করো,  ...বিস্তারিত

 

মানবিক গুণাবলীর পরিপূর্ণতা

-ড. আ ফ ম আবূ বকর সিদ্দীক

কোন মানুষের জীবন যতই ঐতিহাসিক হোক না কেন, যতক্ষণ না তার মধ্যে মানবিক গুণাবলী পরিপূর্ণতা লাভ করে ততক্ষণ তা আমাদের জন্য আদর্শ হতে পারে না। আর কোন জীবনের পূর্ণাঙ্গ মানবিক গুণাবলীর সমাবেশ এবং তা সব কিছু থেকে ত্রæটিমুক্ত তখনই প্রমাণিত হতে পারে, যখন তার সমস্ত অংশ আমাদের সামনে থাকে।
স্মর্তব্য যে, ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তাঁর সময়ের লোকদের সামনে ছিল এবং তাঁর ওফাতের পর বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় তা পুরোপুরি সংরক্ষিত আছে। তাঁর জীবনে সামান্যতম অংশ এমন নেই যে,  ...বিস্তারিত

 

সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ (সা.)

-অধ্যাপক ড. এম. শমশের আলী

সমসাময়িক বিশ্ব-ঘটনাবলীর দিকে যেই তাকাবে সেই লক্ষ্য করবে যে, পেশী-শক্তির উপরে যুক্তির প্রাধান্য বিরাজ করছে না, আমাদের মূল্যবোধ ইতোমধ্যেই ক্ষয় পেতে শুরু করেছে, আর আমাদের এমন কোন নেতা নেই যার  উপর আমরা ভরসা করতে পারি। আমরা একটি সংকটের মধ্যে আছি। বর্তমান পরিস্থিতি একজন লোকের কথা মনে করিয়ে দেয় যিনি এই গানটি লিখেছিলেন, “Where have all the flowers gone, long long time ago?” এই লোকটি যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে উনি আরো একটি গান গাইতেন,  ...বিস্তারিত

 

হাদীসের আলোকে প্রিয়নবী (সা.)-এর মর্যাদা


মূল: আল্লামা ইউসুফ ইবনে ইসমাঈল আন-নাবহানী
অনুবাদ: মোহাম্মদ নজমুল হুদা খান

সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। সালাত ও সালাম আমাদের সরদার সায়্যিদুল মুরসালীন হযরত মুহাম্মদ (সা.), তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কিরাম সকলের প্রতি।
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা.) সাধারণভাবে বিনয়ীদের সরদার ছিলেন। এ সম্পর্কে তাঁর থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এতদসত্ত্বেও তাঁর স্বীয় মর্যাদা সম্পর্কে অনেক বর্ণনাও এসেছে। এগুলো মূলত দ্বীনেরই অংশ, যা তাঁর জন্য প্রচার করা আবশ্যক ছিল এবং গোপন করা বৈধ ছিল না,  ...বিস্তারিত

 

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি তাযীম-সম্মান

মুফতী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী

রাসূলুল্লাহ (সা.) সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী মহান ব্যক্তিত্ব। সাহাবায়ে কিরাম তাঁর এ মর্যাদা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তারা তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করতেন। এমনকি তা’যীম-সম্মানের কারণে তাঁর প্রতি পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেন না।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আমর ইবনুল আস (রা.)-এর মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হলে। তিনি এসব আপন পুত্রকে নিজের তিনটি অবস্থা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রথম অবস্থা ছিল এমন যে, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সবচেয়ে বড় শত্রু ছিলাম। যদি আমি সে অবস্থায় মারা যেতাম তবে দোযখী হতাম। দ্বিতীয় অবস্থা হলো,  ...বিস্তারিত

 

যুহুরে নবুওয়াতপূর্ব তাঁর জীবনও আমাদের জন্য অনুসরণীয়

-মাওলানা জ. উ. ম. আব্দুল মুনঈম

সৃষ্টিকুলের সেরা জীব মানব জাতির বিস্তৃতির পাশাপাশি তাদের সুসভ্য জীবন যাপন, সর্বোপরি আল্লাহর বান্দাহ হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের নাজাতের পথ নির্দেশক হিসেবে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠিয়েছেন। যারা ছিলেন সমকালীন সম্ভ্রান্ত বংশীয়, পরিপূর্ণ মানবিক গুণে গুণান্বিত, উন্নতর চারিত্রিক গুণে ভূষিত, সামগ্রিক কদর্যতা মুক্ত। তারা শৈশবকাল থেকেই এমন পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করেছেন যে তাঁদের অর্জিত স্বভাব চরিত্রই সর্বমহলে তাদেরকে শ্রদ্ধার পাত্র, প্রিয় এবং অনুসরণীয় করেছিল। আল্লাহ তাআলা কুদরতী বিশেষ তত্ত্বাবধানে তাঁদেরকে পরিচালিত করেছেন। শ্রেষ্ঠ নবী,  ...বিস্তারিত

 

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জন্ম ও বংশ মর্যাদা আলোচনা


মুফতী মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী

নবীগণকে খাটো করে দেখা, তাঁদের সম্মানকে হেয় দৃষ্টিতে দেখা কাফির-মুশরিকদের স্বভাব ছিল, যার অনেক প্রমাণ কুরআন কারীমে আছে। কুরআনে কারীমের যে আয়াতেই নবীগণকে কোন বৈশিষ্ট্য ছাড়া কেবল বাশার (মানুষ) বলা হয়েছে, দেখা যায় সেটি মূলত কাফিরদের উক্তি ছিল, যা আল্লাহ তাআলা উদ্ধৃতি হিসাবে কুরআন কারীমে বর্ণনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত কয়েকটি আয়াত নিম্নে পেশ করা হল-
(১) قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا -তারা বলল তোমরাতো আমাদের মতো মানুষ। (সূরা ইয়াছিন),  ...বিস্তারিত

 

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম ও সংশ্লিষ্ট ঘটনা

মূল: হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী (র.)
অনুবাদ: মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জন্ম তারিখ
সকল সীরাতকার ও ঐতিহাসিকগণ এ কথার উপর একমত হয়েছেন যে, হাতীর অধিপতি আবরাহা বাদশার ঘটনার বৎসর, ঘটনার মাত্র ৪০ অথবা ৫৫ দিন পর নূরনবী (সা.) দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছিলেন। এটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত। তাঁর জন্ম তারিখ সম্বন্ধে কিছুটা মতভেদ থাকলেও ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, এটি অতি প্রসিদ্ধ মত এবং এর জনশ্রুতি অত্যধিক। উপরন্তু এ তারিখই মক্কাবাসীদের নিকট বিশেষ প্রচলিত। তাঁরা উক্ত ১২ই তারিখের মুস্তাহাব আমল হিসাবে প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মস্থান পরিদর্শন করে থাকেন। রাত্রে মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও এর আদব রক্ষা করা তাঁদের নিকট একটি অতি প্রিয় ও অত্যধিক সুপ্রচলিত আমল।

জন্ম সংশ্লিষ্ট ঘটনা
হযরত আমিনা বলেন,  ...বিস্তারিত

 

মহানবী (সা.)-এর নূরানী চেহারা ও পবিত্র আঁখিযুগল


মূল: শাহ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.)
অনুবাদ : মাওলানা মুমিনুল হক

হুযুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নূরানী চেহারা মোবারক জামালে এলাহীর দর্পন ও অসীম নূরের বহিঃপ্রকাশের আধার। বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক সুন্দর ও কমনীয়। হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর চেয়ে সুন্দর কোনো কিছুই আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) তাঁর বক্তব্যে ‘কোনো কিছুই দেখিনি’ কথাটি উল্লেখ করেছেন। তিনি কিন্তু কোনো মানুষকে দেখিনি অথবা কোনো পুরুষকে দেখিনি-এরূপ বলেননি। তাঁর বর্ণনার মধ্যে অধিক ব্যাপকতা রয়েছে। নবী করীম (সা.) এর আঙ্গিক সৌন্দর্য বোঝানোই তাঁর উদ্দেশ্য। মোটকথা,  ...বিস্তারিত

 

প্রিয় নবী (সা.) এর সীরাত ও সূরাত-মুফতী সায়্যিদ মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান (র.)

 

বিশ্বমানবতার ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির পয়গাম সহকারে ৫৭০ সালের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মহাবিশ্বে আগমন করলেন প্রিয়নবী খাতামুন্নাবিয়্যিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন, শান্তির অগ্রদূত, মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা, উদারতা, মহানুভবতা, সংযমশীলতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহনশীলতা, একতা ও সমতার।
তাঁর আদর্শমণ্ডিত জীবনধারায় বিদ্যমান ছিলো পরোপকার, দয়া-মায়া, মমত্ববোধ, সহানুভূতি। তিনি একটি কাজের আদেশ প্রদানের পূর্বে তা নিজ কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করতেন। এ ব্যাপারে তায়েফের মরু প্রান্তরের ঐতিহাসিক ঘটনা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। যখন মহামানব মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত্রুদের আক্রমণে আঘাতপ্রাপ্ত,  ...বিস্তারিত

 
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!