প্রশ্ন : (1014) শুনেছি মাতা-পিতা জীবিত থাকলে কোন পীর-বুযুর্গের নিকট বায়াত হওয়া জায়িয নেই। কথাটি কি সঠিক? জানতে চাই।

উত্তর : ইছলাহে বাতিন তথা অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধির জন্যে কোন পীর-বুজুর্গের নিকট রায়াত হওয়ার সহিত পিতা-মাতা জীবিত থাকা কিংবা মৃত্যুবরণ করার কোন সম্পর্ক নেই। তাই বর্ণিত উক্তি উদ্ভট ও ভিত্তিহীন। পীর-বুযুর্গ ও ওলী-আউলিয়া বিদ্বেষী এক শ্রেণীর গোমরাহ লোকের দ্বারা এ রূপ অপপ্রচার করা হয়ে থাকে। জিকর ও নেককার মুত্তাকী-পরহেজগারগণের সান্নিধ্যে যাওয়া ও তাদের অনুসরণ ও অনুকরণের যে সকল দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাতে কোথাও পিতা-মাতার মৃত্যুবরণের শর্ত করা হয় নি। তাছাড়া বায়াতের পদ্ধতি হুজুর (সা.) এর যুগের অনুসরণে যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে। সে যুগে যুগে সাহাবায়ে কিরাম বিভিন্ন সময়ে হুজুর (সা.) এর হাতে বায়াত হয়েছিলেন অথচ তাদের অনেকের পিতা-মাতা জীবিত ছিলেন। তাই এরূপ ভ্রান্ত ও উদ্ভট অপপ্রচারের বিষয়ে মুসলমানদের সতর্ক থাকা ও সে কথায় বিভ্রান্ত না হওয়া উচিত।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল,  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1013) শরীআতের দৃষ্টিতে ফুটবল খেলা ও দেখা জায়িয কিনা? জানতে চাই।

উত্তর : শরীরের ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ফুটবল খেলা জায়িয। যথা-
১. এতে টাকা পয়সার বাজি সংশ্লিষ্ট হবেনা।
২. সতর আবৃত থাকবে।
৩. অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবেনা।
৪. অর্থ কড়ির অপচয় হবেনা।
৫. নামায ও অন্যান্য আবশ্যকীয় ইবাদত বা কার্যাবলী বিনষ্ট হবে না।

এ খেলা দেখে বাজে সময় নষ্ট করা জায়িয নয়।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার,  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন : (1012) কাশফ কাহাকে বলে? আউলিয়ায়ে কিরাম নাকি কাশফের মাধ্যমে অনেক গোপনীয় বিষয় জানতে পারেন এটা কতটুকু সঠিক? বিস্তারিত জানতে চাই।

উত্তর: মহান আল্লাহ তাআলার খালিছ বন্দেগীর মাধ্যমে যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সমর্থ হল আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাদেরকে অনেক গোপনীয় বিষয়াবলী বিভিন্নভাবে অবহিত করা হয়। ইলমে তাছাউফের পরিভাষায় একে ‘কাশফ’ বলা হয়। আউলিয়ায়ে কিরামকে কাশফের মাধ্যমে অদৃশ্য জগতের বিষয়বস্তু অবহিতকরণ তাদের কারামতেরই অন্তভর্‚ক্ত। কেননা তারা ইহা ঈমানের দৃঢ়তার কারণে ও আল্লাহর একনিষ্ট বন্দেগীর মাধ্যমে অলৌকিক ক্ষমতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। কুরআন-হাদীসের দলীল প্রমাণের মাধ্যমে এ কাশফ সত্য বলে প্রমাণিত। তাই আকাঈদের বিশেষজ্ঞ ইমামগণ এ ব্যাপারে সর্বসম্মত অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন- ‘আউলিয়ায় কিরামের কারামত সত্য’। সাহাবায়ে কিরাম তাবেয়ীন,  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1011) মিম্বরে সিঁড়ির সংখ্যা কতটি থাকতে হবে? কোন সিঁড়িতে দাড়িয়ে ইমাম সাহেব খুৎবা দিবেন?

উত্তরঃ শরীয়তের পক্ষ থেকে মিম্বরের সিঁড়ির সংখ্যা সম্পর্কে কোন নির্দিষ্টতার বাধ্য বাধ্যকতা নেই। যে কোন সংখ্যার সিঁড়ি বিশিষ্ট মিম্বর তৈরী করা জায়িয আছে। মুসলিমগণের উপস্থিতির সংখ্যা বিবেচনায় মিম্বরকে উঁচু করার জন্যে অধিক সংখ্যক সিঁড়ি বিশিষ্ট মিম্বর তৈরী করে মসজিদে স্থাপন করাও বৈধ। যে কোন সিঁড়িতে দাঁড়ানো জায়িয আছে। এর দ্বারা মিম্বরে উঠার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মোহতার, ১/৭৭০)

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান,  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1010) ঈদের দিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব কতটুকু? ঈদের দিনের করণীয় কাজগুলো কি কি?

উত্তর: ইসলামী শরীআতের বিধানানুযায়ী বছরের উত্তম দিবসসমূহের মধ্যে দু’ঈদের দিন অন্যতম। মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ বিশেষ নিয়ামত ও ব্যাপকহারে ক্ষমা প্রাপ্তিতে মু’মিন নর-নারী শরীআত সম্মত পন্থার আনন্দ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের নিমিত্তে দুটি ঈদ পালনের। ঈদুল ফিতর দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর এর বিশেষ প্রতিদান লাভের খুশী পালনার্থে এবং ঈদুল আযহা হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর কুরবানী কবূল হওয়ার স্মৃতিচারণার্থে শরীআতে বিধিবদ্ধ হয়েছে। এ দু’ঈদের দিনে দু’রাকআত ওয়াজিব নামায বিশেষ পদ্ধতিতে পালনের বিধান রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সহিত গরীব দুঃস্থ লোকের প্রতি বিশেষ সদকা সামর্থবানদের উপর ওয়াজিব যা ফিতরা নামে অভিহিত। ঈদুল ফিতরের দিনে রমজানের সিয়াম সাধনার পুরস্কার ঘোষিত হয় এবং ব্যাপকহারে (গুনাহগার) মুসলানগণকে ক্ষমা করা হয়। ঈদুল আযহার দিবসেও অনুরূপ ব্যাপকহারে (গুনাহগার) মুসলমানগণকে ক্ষমা করা হয় এবং কুরবানী আদায়কারীগণের কুরবানী আল্লাহর দরবারে গৃহিত হলে এর পশমের সংখ্যানুপাতে সওয়ার প্রদান করা হয়। দু’ঈদের দিনের করণীয় কাজগুলো হলো-
১.  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: আমরা পবিত্র কুরআনে মজীদ তিলাওয়াতকালে যেরূপ তাজবীদ অনুস্মরণ করে তারতীলের সাথে তিলাওয়াত করে থাকি দুরূদ শরীফ কিংবা অন্যান্য দুআ দুরূদের অযীফা পাঠকালে সেরূপ তাজবীদের কায়দা নিয়ম নীতি অনুস্মরণ করতে হবে কি? জানতে চাই।

উত্তর: পবিত্র কুরআন মজীদ তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে তাজবীদ অনুস্মরণের সরাসরি নির্দেশ থাকার কারণে কুরআনে মজীদের তিলাওয়াতে তাজবীদ অনুস্মরণের আবশ্যকতা প্রমাণিত হয়। সুতরাং কুরআন মজীদ ব্যতীত আরবী ভাষার যেকোন ধরনের দুআ দুরূদে তাজবীদ অনুস্মরণের আবশ্যকতা নেই। তবে হরফ সমূহের যথাযথ উচ্চারণ তথা মাখরাজ ও সিফাতের অনুস্মরণ ব্যতীত আরবী বাক্যের অর্থ বিগড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এ দুটি বিষয়ের অনুসরণ সর্বক্ষেত্রেই প্রয়োজন।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1009) শারীরিক ওজর কিংবা অন্য কোন কারণ বশতঃ দাড়িয়ে প্রশ্রাব করা জায়িয আছে কি? জনৈক মাওলানা সাহেব একটি বইয়ে লিখেছেন রাসূল (সা.) একদিন কোন এক ওজর বশতঃ দাঁড়িয়ে প্রশাব করেছেন তা কি সত্য? জানতে চাই।

উত্তর: শারীরিক ওজর বশতঃ কেহ বসে প্রস্রাব করতে অপারগ হলে কিংবা প্রস্রাবের স্থানে এমন কোন অসুবিধা থাকলে যদ্দরুন বসে প্রস্রাব করলে শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যেতে পারে এরূপ সম্ভাবনা দেখা দিলে, দাাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা দুরুস্ত আছে। জনৈক মাওলানা সাহেবের লিখিত বইয়ের তথ্য সঠিক। হাদীস শরীফে এরূপ বর্ণনা রয়েছে।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1008) কোন মহিলার হজ্জ ফরয হয়েছে, কিন্তু তার সফরসঙ্গী স্বামী কিংবা মুহরিম কোন পুরুষ নেই। সে কি হজ্জ করবে না?

উত্তর: মহিলার ক্ষেত্রে হজ্জ ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে স্বামী কিংবা কোন মুহরিম পুরুষ তার সঙ্গী হওয়া (যদি মক্কা শরীফের দূরত্ব ৪৮ মাইলের অধিক হয়)। সুতরাং ঐ মহিলার এরূপ সঙ্গী না থাকাতে তার উপর হজ্জ ফরয হয় নি (শরহ বেকায়া)।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1007) আমার আব্বার চারটি মহিষ আছে। প্রতিটি মহিষের মূল্য বিশ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় কি মহিষের যাকাত দিতে হবে? আর যাকাত দিতে হলে কি পরিমাণ দিতে হবে ?

উত্তর: মহিষ ত্রিশটির কম হলে যাকাত ফরয হয় না। উপরে বর্ণিত অবস্থায় মহিষের সংখ্যা চারটি। তাই যাকাত ফরয নয় (ফিকহের যাবতীয় কিতাব দ্রষ্টব্য)।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।  ...বিস্তারিত

 

প্রশ্ন: (1006) রাসুল (সা.) কি হাজির ও নাযির। নবীজীর হাযির-নাযির বলে কুরআন হাদীসে কোন দলীল আছে কি?

উত্তর: রাসূল (সা.)-কে সর্বাবস্থায় সর্বত্র হাযির নাযির বলে বিশ্বাস করা ইসলামী আকীদা পরিপন্থী ও দলীল বহির্ভুত। তা ছাড়া আল্লাহ তাআলার খাস গুনাহ বলীর সাথে ইহা সাংঘার্ষিক-এর স্বপক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য দলীল নেই। তবে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে হুযূর (সা.) যথেচ্ছা গমনাগমনের অনুমতিপ্রাপ্ত (আল হাবী লিল ফাতওয়া)।

জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।  ...বিস্তারিত

 
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!