উত্তর: ইসলামী শরীআতের বিধানানুযায়ী বছরের উত্তম দিবসসমূহের মধ্যে দু’ঈদের দিন অন্যতম। মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ বিশেষ নিয়ামত ও ব্যাপকহারে ক্ষমা প্রাপ্তিতে মু’মিন নর-নারী শরীআত সম্মত পন্থার আনন্দ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের নিমিত্তে দুটি ঈদ পালনের। ঈদুল ফিতর দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর এর বিশেষ প্রতিদান লাভের খুশী পালনার্থে এবং ঈদুল আযহা হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর কুরবানী কবূল হওয়ার স্মৃতিচারণার্থে শরীআতে বিধিবদ্ধ হয়েছে। এ দু’ঈদের দিনে দু’রাকআত ওয়াজিব নামায বিশেষ পদ্ধতিতে পালনের বিধান রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সহিত গরীব দুঃস্থ লোকের প্রতি বিশেষ সদকা সামর্থবানদের উপর ওয়াজিব যা ফিতরা নামে অভিহিত। ঈদুল ফিতরের দিনে রমজানের সিয়াম সাধনার পুরস্কার ঘোষিত হয় এবং ব্যাপকহারে (গুনাহগার) মুসলানগণকে ক্ষমা করা হয়। ঈদুল আযহার দিবসেও অনুরূপ ব্যাপকহারে (গুনাহগার) মুসলমানগণকে ক্ষমা করা হয় এবং কুরবানী আদায়কারীগণের কুরবানী আল্লাহর দরবারে গৃহিত হলে এর পশমের সংখ্যানুপাতে সওয়ার প্রদান করা হয়। দু’ঈদের দিনের করণীয় কাজগুলো হলো-
১. ভোরে- প্রত্যুষে ঘুম থেকে ওঠা
২. মিসওয়াক করা
৩. গোসল করা
৪. যথাসাধ্য উত্তম পোষাক পরিধান করা
৫. শরীআত সম্মতভাবে সাজসজ্জা করা
৬. খুশবু ব্যবহার করা
৭. ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কোন মিষ্টদ্রব্য খেয়ে যাওয়া। ঈদুল আযহায় ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া ৮. ঈদুল ফিতরের দিন পূর্বে ফিতরা না দিয়ে থাকলে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে ফিতরা আদায় করা ৯. হেটে ঈদগাহে যাওয়া (সম্ভব হলে) ১০. আগে ঈদগাহে যাওয়া ১১. ঈদগাহে নামায পড়া, বিনা ওজরে মসজিদে না পড়া ১২. ঈদুল ফিতরের নামাযে যাওয়ার সময় তাকবীর আস্তে আস্তে বলা ও ঈদুল আযহার নামাযে যাওয়ার সময় তাকবীর জোরে বলা ১৩. এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে আসা ১৪. ঈদুল আযহার নামায আদায়ের পর কুরবানী আদায়কারীগণ কুরবানীর জন্তু যবেহ করা (ফিকহের কিতাবসমূহ দ্রষ্টব্য)।
জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান -প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।