মহানবী ﷺ এর অনুপম বৈশিষ্ট্য (ধারাবাহিক-৯ম পর্ব)

পূর্ব প্রকাশিতের পর

৮১.   তিনি ﷺ যে কোনো কথা তিনবার বলতেন। [তিরমিযী]

৮২.   তিনি ﷺ যখন কথা বলতেন, তখন তাঁর অগ্রভাগের দাঁত মুবারক দিয়ে যেন নূর চমকাত। [দারিমী]

৮৩.  তিনি ﷺ হাদিয়া কবূল করতেন এবং এর বিনিময়ে কোনো কিছু দান করতেন। [বুখারী]

৮৪.   তিনি ﷺ সুন্দর নাম পছন্দ করতেন। [মু’জামুল কাবীর]

৮৫.  তিনি ﷺ অপছন্দনীয় নামকে সুন্দর নাম দ্বারা পরিবর্তিত করে দিতেন। [বুখারী-মুসলিম]

৮৬. তিনি ﷺ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরামর্শগ্রহণকারী ছিলেন। [ইবন হিব্বান]

৮৭.   তিনি ﷺ নামায শেষ করে তিন বার ইস্তিগফার পড়তেন এবং বলতেন-

          الل­هُم­ أَنْذ الس­لامُ “مِنْكَ الس­لامُ ، ذبَارَكْذ يَا ذا الْجَلالِ “الإِكْرَامِ.

          অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি শান্তির আধার, আপনার থেকেই শান্তির উৎপত্তি, হে মহিমান্বিত ও সম্মানিত, আপনি অতিশয়

           বরকতপূর্ণ। [মুসলিম]

৮৮.  মহানবী ﷺ যখন ইস্তিঞ্জা সেরে বের হতেন বলতেন- غفرانك 

           ‘আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ [তিরমিযী]

৮৯.  মহানবী ﷺ যখন শৌচাগারে প্রবেশ করতেন তখন এই দু‘আ পড়তেন- الل­هُم­ إِن­ي أَعُ”ذ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ “الْخَبَائِثِ

          অর্থ : হে আল্লাহ! আমি অনিষ্টকারী (পুর”ষ, স্ত্রী) জিন থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [বুখারী, মুসলিম]

৯০.   মহানবী ﷺ নতুন চাঁদ দেখলে বলতেন-

         الل­هُم­ أَهِل­هُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ “الإِيمَانِ ، “الس­لامَةِ “الإِسْلامِ ، رَب­ي “رَب­كَ الل­هُ.

       -‘হে আল্লাহ। তুমি এই নব চাঁদকে কল্যাণকর করে দাও সাফল্য, ঈমান, নিরাপত্তা ও শান্তি দ্বারা। তোমার ও আমার রব- আল্লাহ।’ [আহমদ]

… (চলবে)

শেয়ার করুন:
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!