রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম ও সংশ্লিষ্ট ঘটনা

মূল: হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী (র.)
অনুবাদ: মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জন্ম তারিখ
সকল সীরাতকার ও ঐতিহাসিকগণ এ কথার উপর একমত হয়েছেন যে, হাতীর অধিপতি আবরাহা বাদশার ঘটনার বৎসর, ঘটনার মাত্র ৪০ অথবা ৫৫ দিন পর নূরনবী (সা.) দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছিলেন। এটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত। তাঁর জন্ম তারিখ সম্বন্ধে কিছুটা মতভেদ থাকলেও ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, এটি অতি প্রসিদ্ধ মত এবং এর জনশ্রুতি অত্যধিক। উপরন্তু এ তারিখই মক্কাবাসীদের নিকট বিশেষ প্রচলিত। তাঁরা উক্ত ১২ই তারিখের মুস্তাহাব আমল হিসাবে প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মস্থান পরিদর্শন করে থাকেন। রাত্রে মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও এর আদব রক্ষা করা তাঁদের নিকট একটি অতি প্রিয় ও অত্যধিক সুপ্রচলিত আমল।

জন্ম সংশ্লিষ্ট ঘটনা
হযরত আমিনা বলেন, সাধারণত সন্তান প্রসবের সময় নারীদের যে ব্যথা হয়ে থাকে, আমার এ প্রসব ব্যথা যখন হয়েছিল, তখন আমি নিজ গৃহে একাকী ছিলাম এবং খাজা আবদুল মুত্তালিব কা’বা ঘরের তাওয়াফে ছিলেন। এমন সময় একটি বিরাট শব্দ শুনে আমি ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গেলাম। অতঃপর আমি একটি ছোট সাদা পাখি দেখতে পেলাম, সে তার পাখা দ্বারা আমার বক্ষ মুছতে লাগল, এতে আমার সমস্ত ব্যথা ও ভীতি চলে গেল। এরপর আমার নিকট সাদা শরবত দেখতে পেয়ে আমি তা পান করলাম, ফলে আমি অত্যন্ত শান্তি পেলাম এবং খুব উচ্চ জ্যোতি আমার দৃষ্টিগোচর হল। ইতোমধ্যে আমার নিকট খেজুর বৃক্ষের ন্যায় লম্বাকৃতির কয়েকজন মহিলা উপস্থিত হলেন। আবদে মনাফের কন্যাদের মত তাঁদেরকে দেখা যাচ্ছিল। আমি অত্যধিক আশ্চর্যান্বিত হলাম যে, তাঁরা কোথা হতে এসেছে। ইত্যবসরে তাঁদের মধ্য হতে একজন বলে উঠলেন, সেই ফেরাউন যে গুমরাহ হয়ে গিয়েছিল, আমি তার স্ত্রী আছিয়া। দ্বিতীয় আরেক জন বললেন, আমি ইমরান-কন্যা মারইয়াম, ঈসা (আ.) এর মাতা। আর এ সকল নারী যাঁরা আমাদের সাথে এসেছেন, তাঁরা সকলেই বেহেশতের হুর। (আমিনা বলেন) এ সময় আমার খুব খারাপ লাগছিল। প্রতি ঘন্টায় এক একটি বিরাট শব্দ শুনতে লাগলাম। পূর্ব শব্দ হতে পরের শব্দগুলো ক্রমান্বয়ে অত্যধিক ভীতিজনক ছিল। এমন সময় হঠাৎ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে রেশমী কাপড়ের ন্যায় একটি সাদা চাদর লম্বা-লম্বীভাবে দেখতে লাগলাম। আরো দেখলাম আসমান ও জমিনের মধ্যে কয়েকজন পুরুষ লোক দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের হাতে রৌপ্য তৈরি পান পাত্র ছিল। অতঃপর আমি একদল পাখি দেখেছিলাম। এরা আমার নিকট আসলো। তাদের চক্ষু জামরুদ পাথরের এবং পাখা ইয়াকুত পাথরের ছিল। এ সময় আল্লাহ তাআলা আমার চোখের পর্দা উঠিয়ে নিলেন। আমি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমে দেখে নিলাম, এ সময় তিনটি পতাকা দেখতে পেলাম। একটি পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে, দ্বিতীয়টি পশ্চিম প্রান্তে এবং তৃতীয়টি কা’বা শরীফের ছাদের উপর ছিল।…

সিজদাবস্থায় ভূমিষ্ট হওয়া ও পরবর্তী ঘটনাবলী
হযরত আমিনা ফরমান, যখন মাওলুদুল মাহমুদ তথা প্রশংসিত সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন আমি তাকে সিজদা অবস্থায় দেখেছিলাম। সে সময় তার উভয় হাতের তর্জ্জনী আঙ্গুলী বিনীত দুআকারীর ন্যায় আকাশের দিকে প্রসারিত ছিলো। অতঃপর দেখতে পেলাম, একটি সাদা আবরণ এসে তাকে ঢেকে ফেললো এবং আমার চোখের অগোচরে নিয়ে গেল। এ সময় আমি শুনছিলাম এক আওয়াজকারী বলছেন যে, এ পবিত্রতম সন্তানটিকে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম ঘুরিয়ে আন এবং সকল সাগর ও মহাসাগর দেখিয়ে আন। এতে সকল স্থল ও জলবাসী তাঁর নাম, প্রশংসা ও উজ্জ্বলতম আকৃতি সহকারে তাঁকে চিনে নিতে পারবে। তারা আরো জানতে পারবে যে, এ পবিত্রতম সন্তানটির নাম ‘মাহীন’- বাতিল ধ্বংসকারী ও অন্যায়ের মূলোৎপাটনকারী, তিনি সমস্ত শিরক ও অংশীবাদীতার সকল নাম নিশানা মিটিয়ে দিবেন।
অন্য একটি হাদীসে হযরত আমিনা হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, যে সময় আমি আমার পুত্রকে প্রসব করেছিলাম সে সময় একটি জ্যোতির্ময় বিরাট আবরণ দেখতে পেলাম। এর ভিতর হতে ঘোড়ার আওয়াজ, পাখির পাখনা উড়াবার শব্দ ও মানুষের কথা শুনা যাচ্ছিল। আবরণখানা ছেলেটিকে ঢেকে ফেললো, এতে সে আমার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল। ঐ সময় আমি এক আওয়াজকারীকে এ কথা বলতে শুনেছি, মুহাম্মদ (সা.) কে সমস্ত পৃথিবীতে ঘুরিয়ে আন এবং মানব, দানব ও ফেরেশতাদের নিকটে হাজির কর। সকলেই তাঁকে দেখুক। তাঁকে দেখার হক সকলেরই আছে। প্রত্যেকেই তাঁকে এক নজর দেখার প্রগাঢ় ইচ্ছা রাখে।
উপরে বর্ণিত আবরণের ভিতর হতে হযরত আমিনা আরো শুনেছিলেন : আর তাঁকে [মুহাম্মদ (সা.)-কে] দান কর হযরত আদম (আ.) এর আদর্শ চরিত্র, হযরত শীস (আ.) এর ইলমে মা’রিফাত, হযরত নূহের বীরত্ব, হযরত ইবরাহীমের বন্ধুত্ব, হযরত ইসমাইলের ভাষা, হযরত ইসহাকের সন্তুষ্টি, হযরত সালিহের নির্ভুল বাক্য, হযরত লুতের বিজ্ঞান, হযরত ইয়াকুবের সুসংবাদ, হযরত মুসার কঠোরতা, হযরত আইয়ুবের ধৈর্য, হযরত ইউনুসের মান্যতা ও বন্দেগী, হযরত ইউশার জিহাদ, হযরত দাউদের আওয়াজ, হযরত দানিয়ালের মুহাব্বাত, হযরত ইলিয়াছের ইয্যত, হযরত ইয়াহইয়ার পবিত্রতা, হযরত ঈসার সাধুতা। এক কথায় সকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের চরিত্র সাগরে তাঁকে ডুবিয়ে দাও। একের পর এক করে সকল নবীগণের মহৎ চরিত্র গুণে তাঁকে মহা চরিত্রবান বানিয়ে আম্বিয়াগণের সর্বগুণে গুণান্বিত কর।
হযরত আমিনা বলেন, এরপর সে আবরণখানা আমার সম্মুখ থেকে সরে গেল, মুহাম্মদ (সা.) কে এমন একখানা সবুজ রংয়ের রেশমী টুকরায় ভালোভাবে মুড়িয়ে রেখে দিল, যা হতে ঝর্ণার ন্যায় পানির ফোটা পড়ছিল, সে সময় কে যেন বলছিল, বাখ্ বাখ্-ধন্যবাদ, সমস্ত দুনিয়ার উপর মুহাম্মদকে বিজয়ী করা হয়েছে। দুনিয়াবাসী সকল সৃষ্টি তাঁর অধীনে এসে যাবে এবং সব কিছুই তাঁর হুকুম মান্য করবে। অতঃপর আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখি, তাঁকে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। পবিত্র খাটি মৃগনাভীর খুশবু তার নিকট হতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বের হচ্ছে। আমি সেখানে তিন জন নবাগত মানুষ দেখতে পেলাম। তাদের একজনের হাতে রূপার বদনা, দ্বিতীয় জনের হাতে সবুজ রংয়ের জামরুদ পাথরের তৈরি তশতরী এবং তৃতীয় জনের হাতে সাদা রেশমী কাপড় ছিল। এ তৃতীয় ব্যক্তি একটি আংটি বের করল, যার এতই উজ্জ্বলতা ছিল যে, এর দিকে নযর করা দুঃসাধ্য ছিল। দৃষ্টিকারীদের দৃষ্টি তা থেকে ফিরে আসত। সে ব্যক্তি সন্তানটিকে সাতবার গোসল করিয়ে তাঁর উভয় কাঁধের মাঝখানে আংটি দ্বারা মোহর করে দিল এবং তাঁকে রেশমী কাপড় পরিয়ে একঘন্টা পরিমাণ কোলে রেখে আমার নিকট অর্পণ করল।

মাকামে ইবরাহীমের দিকে কা’বা শরীফের সিজদা
আবদুল মুত্তালিব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম রজনীতে কা’বা শরীফে ছিলাম। অর্ধ রজনী অতীত হওয়ার পর দেখি, কা’বা ঘর মাকামে ইবরাহীমের দিকে ঝুঁকে সিজদা করতেছে। সে সময় সেখান থেকে এই তাকবীরও বের হচ্ছিল- আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, মুহাম্মাদের মাবুদ আল্লাহ মহান। এখন আমার মাবুদ আমাকে মূর্তির অপবিত্রতা এবং শিরকী নাপাকী থেকে পবিত্র করিয়েছেন।
অদৃশ্য হতে আওয়াজ আসল, শুন! কা’বার মা’বুদের শপথ! যিনি কা’বাকে (মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মস্থানের জন্য) নির্বাচিত করেছেন এবং মুহাম্মাদ (সা.)-এর কিবলা ও মুবারক বসবাসের স্থান হিসাবে পছন্দ করেছেন।
কা’বার চতুর্দিকে যত মূর্তি ছিল সবগুলি টুকরা টুকরা হয়ে গিয়েছিল। ‘হুবল’ নামীয় সর্ববৃহৎ মূর্তিটি উপুড় হয়ে পড়ে রইল। উচ্চারিত হতে লাগল যে, আমিনা হতে মুহাম্মাদকে পয়দা করা হয়েছে, তাঁর উপর রহমতের বৃষ্টি অবতীর্ণ হচ্ছে।
নূরনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মকালীন নিশানা ও কারামত, বুযুর্গী ও অলৌকিক ঘটনা এত অধিক প্রকাশ পেয়েছিল, যা গণনাতীত। এখানে যা কিছু বলা হলো, এগুলো মহাসাগরে এক ফোটা পানিতুল্য মাত্র। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত ও অধিক প্রকাশ্য এবং বেশি আশ্চর্যজনক ঘটনাবলীর মধ্যে আরো ছিলো:
১. নওশেরাওয়া বাদশাহর সিংহাসন নড়ে যায় এবং এর উন্নত মানের সর্বোচ্চ ১৪টি কংকর ছুটে নীচে পড়ে যায়।
২. সাওয়া দরিয়া শুকিয়ে যায় এবং তার পানিসমূহ নীচের দিকে চলে যায়।
৩. আর ‘সামাওয়া’ হ্রদ পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, অথচ এর পূর্বে এক হাজার বছর যাবত শুকনা ছিল।
৪. পারস্যের অগ্নিকুন্ড নিভে যায়, যা হাজার বৎসর ধরে প্রজ্জ্বলিত ও উত্তপ্ত অবস্থায় চলে আসছিল।
৫. কুরাইশদের মূর্তিগুলি পড়ে যায় এবং অতিনিকৃষ্টভাবে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে।

কুরাইশদের একটি প্রতিমার কবিতা পাঠ
কুরাইশদের মধ্য হতে একদল লোকের একটি মূর্তি ছিল। প্রত্যেক বছরের প্রথম ভাগে তারা এর নিকট উপস্থিত হয়ে এর সামনে আনন্দ-ফুর্তি করত। তারা এখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করত। কোনো এক রজনীতে তারা দেখল মূর্তিটি নিজ স্থান হতে সরে অসহায় অবস্থায় উপুড় হয়ে গেছে। তারা একে উঠিয়ে তার নিজ স্থানে রেখে দিল। কিন্তু হায়! রাখলে কি হবে? আবার পড়ে গেল, তারা আবার এটি যথাস্থানে রাখলে তা পুনরায় পড়ে গেল। এভাবে তিনবার রাখা হলো, তিন বারই পড়ে গেল। কুরাইশ দল তা স্বচক্ষে অবলোকন করে একেবারেই অস্থির ও হতবাক হয়ে রইল। আবার তারা মূর্তিটিকে তার স্থানে খুব মজবুত ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখল। এমন সময় তারা এর মধ্য হতে নিম্নলিখিত কবিতা শুনতে পেল:

تَرَدَّىْ بِمَوْلُوْدِ اَضَاءَتْ بِنُوْرِهِ – جَمِيْعُ فِجَاجِ الاَرْضِ بِالشَّرْقِ وَالْغَرْبِ

وَخَرَّتْ لَهُ الاَوْثَانُ طُرًّا وَاَرْعَدَتْ – قُلُوْبُ مُلُوْكِ الاَرْضِ مِنَ الرَّهِبِ وَالرُّعْبِ

একটি পবিত্র সন্তান প্রকাশ হওয়ার চাদর পরিধান করেছেন। তাঁর জ্যোতিতে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমের সমস্ত খালি স্থান আলোকিত হয়ে গেছে। তাঁরই উদ্দেশ্যে সকল মূর্তি উপুড় হয়ে পড়ে গেছে। আর তাঁর ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে বিশ্বের সকল রাজা বাদশাহর প্রাণ কেঁপে উঠেছে।
এ ঘটনা প্রিয় নূরনবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের রাতে সংঘটিত হয়েছিল।

রাসূল (সা.) এর জন্ম তারিখ উপলক্ষে মীলাদ ও কিয়াম
যে সকল বুযুর্গানে দ্বীন ও শীর্ষস্থান অধিকারী আশিকে রাসূল হিসাবে সুপরিচিত হয়েছেন এবং আশিকগণের মধ্যে যারা শীর্ষস্থানীয় আর যারা ছাহিবে ওয়াজদ (ভাবুক) কিংবা ওয়াজদ হাসিলের ইচ্ছা রাখেন, তাঁদের অনেকের একটি অভ্যাস, যখন প্রিয় নূরনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের কথা আলোচনা করা হয়, তখন তাঁরা জন্মের সময় যে সকল কারামাত ও বুযুর্গী প্রকাশ পেয়েছিল এবং যে সকল আলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, সেগুলো স্মরণ করে খুশী ও আনন্দে এবং ভাবাবেগে দাঁড়িয়ে যান এবং উক্ত দাঁড়ানো অবস্থায় হুযূরের প্রশংসামূলক কবিতা পাঠ করতে থাকেন। (অর্থাৎ নূরনবী (সা.) এর জন্ম কাহিনী বর্ণনার সময় ভাবাবেগে দাঁড়িয়ে যাওয়া ও তাঁর প্রশংসার কবিতা পাঠ করা অনেক ভাবুক ও আশিকে রাসূলের নিকট অত্যধিক প্রিয় ও আনন্দের বিষয়। এ সময় দাঁড়িয়ে যাওয়াও তাঁদের একটি বিশেষ অভ্যাস।)

[হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ কর্তৃক
হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী (র.) এর البراهين القطعية থেকে অনূদিত

সুবহে সাদিক ২০১৬ থেকে সংগৃহীত]

শেয়ার করুন:
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!