উত্তর : আযানের সময় আযানদাতা যখন ‘আশহাদুআন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ প্রথমবার উচ্চারণ করবে তৎশ্রবণে স্রোতা সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ বলবে- আযানদাতা যখন দ্বিতীয়বার আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে তখন স্রোতা কুররাতু আইনী বিকা ইয়া রাসূলাল্লাহ পাঠ করবে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলীতে উভয় বাক্যের উচ্চারণকালে চুমু খেয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয়ের নখ পৃষ্ঠ দ্বারা চক্ষুদ্বয়ের পাতার উপর মাসেহ করতঃ ‘আল্লাহুম্মা মাত্তি’নী বিসসাময়ী ওয়াল বাছারী’ বাক্য পাঠ করবে। সুপ্রসিদ্ধ ফাতওয়াগ্রন্থ শামী কিতাবের ১ম খন্ড ২৯৩ পৃষ্ঠায়, তাফসীরে জালালাইনের ৩৫৭ নং পৃষ্ঠায় ১৩নং হাশিয়ায় ও তাফসীরে রুহুল বয়ান এবং কোহেস্তানী প্রভৃতি কিতাবে হাদীসের বর্ণনা দ্বারা এরূপ আমলের মুস্তাহাব হওয়াকে প্রমাণ করা হয়েছে। তৎসঙ্গে এর ফযীলতে বলা হয়েছে যে, হুযূর (সা.) বলেছেন- এরূপ আমলকারীকে তিনি বেহেশতের দিকে টেনে নিয়ে যাবেন। নিম্নবর্ণিত আরো বহু কিতাবে এরূপ আমলের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যথা- মাকাদিসুল হাসানা, কিতাবুল ফিরদাউস, কানজুল ইবাদ, ফতওয়ায়ে সিদ্দীকিয়া, আওয়ারিফুল মায়ারিফ।
জবাব দিচ্ছেন : মাওলানা আবূ নছর মুহাম্মদ কুতুবুজ্জামান –প্রিন্সিপাল, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।