আম্বিয়ায়ে কিরামের মৃত্যুপরবর্তী জীবন


মূল: আবূ বকর আহমদ ইবনুল হুসাইন বায়হাকী (র.)
অনুবাদ: মোঃ মুহিবুর রহমান

[আম্বিয়া কিরামের মৃত্যুপরবর্তী জীবন সম্পর্কে ইমাম বায়হাকী (র.) বিস্তারিত সনদে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবীগণ তাঁদের কবরে জীবিত আছেন। এমনকি তাঁরা কবর শরীফে নামায আদায় করেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কবর জীবনের অবস্থা সর্বাধিক পরিপূর্ণ। তিনি কবর শরীফে জীবিত অবস্থায় আছেন। উম্মতের সালাম তাঁর নিকট পৌঁছানো হয় এবং তিনি এর জবাবও দেন। পাঠকের সুবিধার্থে সনদ সংক্ষিপ্ত করে ইমাম বায়হাকী (র.)-এর মূল বর্ণনার অনুবাদ এখানে উপস্থাপন করা হলো।-অনুবাদক]

হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, নবীগণ তাঁদের কবরে জীবিত, তাঁরা নামায আদায় করেন।
হযরত আনাস (রা.) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, “নবীগণ কবরে চল্লিশ রাত অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে আমল বাদ দেন না। বরং শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার আগ পর্যন্ত মহান আল্লাহর সম্মুখে নামায আদায় করেন।”
এ কথাটি যদি এই শব্দে বিশুদ্ধ হয়, তবে তার মর্মার্থ হবে, ‘এ পরিমাণ সময় অর্থাৎ চল্লিশ দিন ব্যতীত তারা নামায আদায় বাদ দেন না, এরপর তারা সেখানে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নামায আদায় করেন। যেমনটি আমরা প্রথম হাদীসে বর্ণনা করেছি। আর আল্লাহই ভাল জানেন। এটি ‘তাদের আত্মাসহ দেহ উঠিয়ে নেওয়ার’ মর্মার্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুফিয়ান সাওরী (র.) ‘আল জামি’ কিতাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, জনৈক শায়খ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব থেকে আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, কোনো নবীই কবরে চল্লিশ রাতের বেশি অবস্থান করেননি। এর আগেই তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
উক্ত হাদীসের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, তাঁরা অন্যান্য সকল জীবিতের ন্যায় হয়ে যান। আল্লাহ তাদের যেখানে প্রেরণ করেন, তারা সেখানে যান। যেমন আমরা মি’রাজের ও অন্যান্য বিষয়ের হাদীসে দেখেছি যে, নবী (সা.) মুসা (আ.) কে তাঁর কবরে নামাযরত দেখেছেন। অতপর বায়তুল মুকাদ্দাসে তাঁকে অন্যান্য সকল নবীদের সাথে দেখেছেন। অতপর আকাশে তাঁদের দেখেছেন। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা যা চান, তাই করেন।
আর নবীদের (আ.) মৃত্যুপরবর্তী জীবনের পক্ষে সহীহ হাদিসে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লোখযোগ্য হলো-
হযরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি মুসা (রা.) এর পাশ দিয়ে গমন করলাম। তখন তিনি কবরে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে আরো বর্ণিত যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি ইসরার রাতে মি’রাজ রজনীতে লাল বালির স্তুপ এর নিকট মুসা (আ.) এর পাশে উপস্থিত হলাম, তিনি তখন স্বীয় কবরে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। (হাদীসটি মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র.) সংকলন করেছেন)
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন ‘আমি নিজেকে হাজরে আসওয়াদের নিকট দেখতে পেলাম আমার রাত্রিকালীন সফর সম্পর্কে কুরাইশদের সংবাদ দিচ্ছি। তারা বায়তুল মুকাদ্দাসের এমন বিষয় সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করল যা আমি সঠিকভাবে লক্ষ্য করিনি। অতঃপর আমি এমনভাবে চিন্তিত হলাম যে রকম ইতোপূর্বে কখনো চিন্তিত হইনি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বায়তুল মুকাদ্দাসকে আমার সামনে তুলে ধরলেন। ফলে আমি ভাল করে লক্ষ্য করলাম। তারা আমাকে যে বিষয়েই প্রশ্ন করেছে, আমি সে সম্পর্কে তাদের বলেছি। আর আমি নিজেকে নবীদের একটি দলে দেখতে পেলাম, তখন মুসা (আ.) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। তখন তাকে কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট শানুআ গোত্রের লোকদের মতো দেখা যাচ্ছিল। এরপর দেখলাম মরিয়ম তনয় ঈসা (আ.) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। তিনি ছিলেন উরওয়া ইবনু মাসউদ সাকাফী (রা.) এর সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। এরপর দেখলাম ইবরাহীম (আ.) দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। তাঁর সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ মানুষ হলেন তোমাদের সাথী (অর্থাৎ তিনি নিজেই)। অতঃপর নামাযের সময় হলে আমি তাদের ইমামতি করলাম। যখন নামায শেষ করলাম তখন একজন বললেন, হে মুহাম্মদ (সা.), তিনি জাহান্নামের ফেরেশতাদের সরদার, তাকে সালাম করুন। অতঃপর আমি তার দিকে তাকালাম, তিনিই আমাকে আগে সালাম দিলেন। (মুসলিম (র.) তার সহীহ গ্রন্থে হাদিসটি সংকলন করেছেন)
সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রা.) ও অন্যান্যের হাদীসে আছে যে রাসূল (সা.) নবী রাসূলগণের সাথে বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদে সাক্ষাত করেছিলেন; আর আবূ যর ও মালিক ইবনু সা’সাআহ বর্ণিত মিরাজের ঘটনা সংক্রান্ত হাদীসে আছে যে, তিনি আকাশে নবীদের একটি দলের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তিনি তাঁদের সাথে কথা বলেছেন। তারা তাঁর সাথে কথা বলেছেন। আর এ সংক্রান্ত সকল বর্ণনাই একে অপরের বিরোধিতা করছে না। তিনি মুসা (আ.) কে কবরে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে দেখেছেন, অতপর মুসা (আ.) ও অন্যান্যদের সাথে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ভ্রমণ করেছেন- যেমনভাবে আমাদের নবী (সা.) ভ্রমণ করেছেন। আর তিনি সেখানে তাদের দেখেছেন।
অতঃপর তিনি তাদের সাথে আকাশে ভ্রমণ করলেন যেমনভাবে আমাদের নবী (সা.) কে ভ্রমণ করানো হয়েছে। আর তিনি সেখানে তাদের দেখেছেন-যেমনটি তিনি সংবাদ দিয়েছেন।
আর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের গমন করা সম্ভব, যেমন সত্যবাদী নবীর খবরে বর্ণিত হয়েছে। আর এর প্রত্যেক বর্ণনাতেই তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
আরো যেসব বর্ণনা এ বিষয়টি প্রমাণ করে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
হযরত আউস বিন সাকাফী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল জুমুআর দিন। এ দিনই আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তিনি ইন্তেকাল করেন, এ দিনই শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে, এ দিনই বজ্রধ্বনি হবে। অতএব এদিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে দুরূদ পাঠ করো। নিশ্চয়ই তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়। সাহাবীরা বললেন, আমাদের দুরূদ কীভাবে আপনার নিকট পেশ করা হবে, অথচ আপনি মাটির সাথে মিশে যাবেন? তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করেছেন।’
এই হাদীসের প্রমাণ স্বরূপ আরো কিছু বর্ণনা আছে। তন্মধ্যে রয়েছে-
আবূ মাসউদ আনসার (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জুমুআর দিন তোমরা আমার উপর বেশি পরিমাণে দুুরূদ পাঠ কর। কেননা জুমুআর দিন যে-ই আমার উপর দুরূদ পাঠ করবে, তার দুরূদ আমার নিকট পেশ করা হবে।
আবূ উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতি জুমুআর দিন তোমরা আমার উপর বেশি পরিমাণে দুরূদ পাঠ কর। কেননা আমার উম্মতের দুরূদ প্রতি জুমুআর দিন আমার নিকট পেশ করা হয়। অতএব যে আমার উপর অধিক দুরূদ পাঠ করবে, সে আমার অধিক নিকটবর্তী হবে।
খাদিমুন নবী হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দুনিয়ায় আমার উপর সর্বাধিক দুরূদ পাঠ করবে, কিয়ামত দিবসে সকল স্থানেই সে আমার অধিক নিকটবর্তী হবে। যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে ও রাতে আমার উপর দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার একশতটি প্রয়োজন পূরণ করবেন; আখেরাতের সত্তরটি প্রয়োজন ও দুনিয়ার ত্রিশটি প্রয়োজন।
অতঃপর এ দুরূদ নিয়ে আমার কবরে প্রবেশ করার জন্য আল্লাহ একজন ফেরেশতাকে দায়িত্ব দিবেন। যেমনভাবে তোমাদের নিকট হাদিয়া আসে। সেই ফেরেশতা আমাকে দুরূদ পাঠকারীর নাম, বংশ ও গোত্র পরিচয়সহ সংবাদ দিবেন। অতঃপর তাকে একটি শুভ্র গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরসমূহকে কবরে পরিণত করো না, আমার কবরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করো না, আর আমার উপর দুরূদ পাঠ করো। কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পৌঁছে।
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে আরো বর্ণিত যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করে, তখন আল্লাহ আমার নিকট আমার রূহ ফিরিয়ে দেন যাতে আমি তার সালামের জবাব দেই।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর এমন কিছু ফেরেশতা আছেন, যারা পৃথিবীতে বিচরণ করেন আর আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের মধ্যে এমন কেউ নেই যার দুরূদ তাঁর নিকট পৌছানো হয় না। ফেরেশতা (এসময়) বলেন, অমুক আপনার উপর এই পরিমাণ দুরূদ পাঠ করেছেন।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের নিকটে আমার উপর দুরূদ পাঠ করে, আমি তা শুনতে পাই। আর যে দূরে থেকে দুরূদ পাঠ করে তা আমার নিকট পৌঁছানো হয়।
হযরত সুলাইমান বিন সাহিম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (সা.) কে স্বপ্নে দেখে তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), এসকল লোক আপনার নিকট আসে, আপনার উপর সালাম দেয়। আপনি কি তাদের সালাম বুঝতে পারেন? রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ এবং তাদের জবাবও দেই।
আবূ হুরায়রা (রা.) বলেন, একদা একজন মুসলিম ও একজন ইয়াহুদী পরস্পরকে গালিগালাজ করল। মুসলিম লোকটি বলল, সেই সত্তার শপথ, যিনি মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্ববাসীর উপর মনোনীত করেছেন। এই বলে সে একটি শপথ করল। অতঃপর ইয়াহুদী লোকটি বলল, সেই সত্তার শপথ যিনি মুসা (আ.) কে বিশ্ববাসীর উপর মনোনীত করেছেন। সেই সময় মুসলিম লোকটি তার হাত উত্তোলন করল ও ইয়াহুদীকে চড় মারল। অতঃপর ইয়াহুদী লোকটি রাসূল (সা.) এর নিকট গেল এবং তার ও সেই মুসলিমের মধ্যকার ঘটনার বৃত্তান্ত বলল। তখন নবী (সা.) বললেন, তোমরা মুসা (আ.) এর উপর আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিও না। কেননা (কিয়ামতের সময়) মানুষ যখন বেহুঁশ হয়ে যাবে, তখন আমিই প্রথম জ্ঞান ফিরে পাব। আর তৎক্ষণাৎ মুসা (আ.) কে আরশের পাশে বসা অবস্থায় দেখব। আমি জানি না তিনি কি বেহুঁশ হয়েছিলেন আর আমার আগেই সংজ্ঞা ফিরে পেলেন, নাকি আল্লাহ তাকে ব্যতিক্রম রাখলেন। (ইমাম বুখারী (র.) তাঁর সহীহ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তোমরা নবীদের মাঝে মর্যাদার তারতম্য করো না। কেননা শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার পর আকাশের ও পৃথিবীর সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে চান সে ব্যতীত। অতঃপর তাতে আবার ফুঁ দেওয়া হবে, তখন আমি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হব অথবা প্রথম পুনরুত্থিতদের অন্তর্ভূক্ত হব। তৎক্ষণাৎ দেখব মুসা (আ.) একটি বস্তু ধরে আছেন। আমি জানিনা, তুর দিবসের সংজ্ঞাহীনতার মাধ্যমেই তাঁর হিসাব নেওয়া হল না কি তিনি আমার আগেই পুনরুত্থিত হলেন।
আর এ বিষয়টি এভাবেই সঠিক হবে যে, মহান আল্লাহ নবীদের আত্মা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অতএব তারা শহীদদের মতো তাদের প্রতিপালকের নিকট জীবিত। যখন শিঙ্গায় প্রথম ফুঁ দেওয়া হবে তারাও অন্যান্যদের সাথে বেহুঁশ হবেন। পরিপূর্ণ অর্থে এটাকে মৃত্যু বলা যাবে না, এটা কেবল অনুভূতি লোপ। যদি মুসা (আ.) তাদের অন্তর্ভূক্ত হন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা الا ما شاء الله কথার দ্বারা ব্যতিক্রম রেখেছেন তবে আল্লাহ এই অবস্থায় তার অনুভূতি নিবেন এবং তুর দিবসের সংজ্ঞাহীনতার মাধ্যমে তার হিসাব নিবেন। আর বলা হয় যে, শহীদগণ তাদের অন্তর্ভূক্ত, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা الا ما شاء الله কথার দ্বারা ব্যতিক্রম রেখেছেন।
আর আমরা এ প্রসঙ্গে খবরে মারফু বর্ণনা করেছি যা البعث والفسور কিতাবে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত। আর তাওফীকের মালিক মহান আল্লাহ।

[ইমাম আবূ বকর আহমদ ইবনুল হুসাইন বায়হাকী (র.) কৃত রিসালা
“হায়াতুল আম্বিয়া বা’দা ওফাতিহিম” এর অনুবাদ।
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া’র পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী সা. স্মারক “সুবহে সাদিক-২০১৬” থেকে সংগৃহীত]

শেয়ার করুন:
  • জনপ্রিয়
  • সাম্প্রতিক

নির্বাচিত

Don`t copy text!